১৮ মার্চ ২০১০

মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ তাপ তৈরি হলো পৃথিবীতে

সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতিকায় তারার বিস্ফোরণে (সুপারনোভা) যে তাপ উৎপন্ন হয় তা সূর্যের কেন্দ্রের চেয়ে ছয় হাজার গুণ বেশি। আর তার চেয়েও বেশি তাপ কি না তৈরি হলো পৃথিবীর এক গবেষণাগারে!
(রিলেটিভিস্টিক হেভি আয়ন কলাইডর)
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণাগারে বিগ ব্যাংয়ের সময়কার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এ জন্য দরকার ছিল বিগ ব্যাংয়ের সময়কার তাপ তৈরি, যা দিয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টির তাৎক্ষণিক অবস্থা সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারণা পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়কের্র ব্রুকহেভেন ল্যাবরেটরিতে চার ট্রিলিয়ন (চারের পর ১২টি শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের চেনা মহাবিশ্বে আর কোথাও এত তাপ এর আগে তৈরি হয়নি। এ তাপ মুহূর্তের মধ্যে বস্তুর সবচেয়ে ছোট কণা পরমাণুর কেন্দ্রে থাকা প্রোটন ও নিউট্রনকে গলিয়ে ফেলতে যথেষ্ট। টানেলের ভেতর পার্টিকেল এক্সিলারেটর ও রিলেটিভিস্টিক হেভি আয়ন কলাইডর (আরএইচআইসি) যন্ত্র দিয়ে একঝাঁক স্বর্ণের পরমাণুর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে এ তাপ তৈরি করা হয়েছে।
চার ট্রিলিয়ন তথা চার লাখ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস কেমন গরম? তবে ঝটপট জেনে নিন, এই মুহূর্তে মহাবিশ্বের গড় তাপমাত্রা পরম শূন্যের (মাইনাস ২৭৩.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি বেশি। মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৩৬.৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক বায়ুচাপে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পানি ফুটতে থাকে। লোহা গলে যায় এক হাজার ৮০০ ডিগ্রিতে। একটি নক্ষত্রের বিস্ফোরণে তৈরি হয় ২০০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পরমাণুর প্রোটন গলতে লাগবে দুই লাখ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ। অর্থাৎ চার ট্রিলিয়ন ডিগ্রিটা আমাদের কল্পনারও বাইরে।
পরমাণু গঠিত হয় কোয়ার্ক ও গ্লুওন কণা দিয়ে। তবে বিগ ব্যাংয়ের শুরুতে সব কণা ছিল স্যুপের মতো জমাটবদ্ধ ও তরল। ধারণা করা হয়, বিগ ব্যাংয়ের কারণেই আলাদা হয়ে যায় সব কণা। এরপরই তৈরি হয় পরমাণু ও অণু। গবেষকদের বিশ্বাস তারা সৃষ্টির শুরুতে কোয়ার্ক-গ্লুওনের ওই স্যুপ থেকে হাড্রন কণা (বস্তুর মৌলিক কণা) তৈরির ঠিক আগের মূহূর্তটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে পারবেন। হাড্রন হচ্ছে আমাদের মহাবিশ্বের প্রায় সব বস্তুর গাঠনিক উপাদান। মহাবিস্ফোরণের ঠিক পরমূহূর্তে এমন কিছু ঘটেছিল, যার কারণে অ্যান্টিম্যাটারের চেয়ে বেড়ে গিয়েছিল ম্যাটার তথা বস্তুকণার সংখ্যা। তা না হলে ম্যাটার ও অ্যান্টিম্যাটারের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় মহাবিশ্বে শুধু শক্তিই থাকত, বস্তু বলে কিছু থাকত না!
এই বছরই সুইজারল্যান্ডে লার্জ হাড্রন কলাইডরের (এলএইচসি) সাহায্যে বিজ্ঞানীরা সিসার পরমাণুর সংঘর্ষ ঘটিয়ে আরো উচ্চ তাপমাত্রা তৈরির আশা করছেন। পদার্থবিদ দিমিত্রি খারজিভ জানান, তাঁরা এরই মধ্যে এ ধরনের গবেষণার বাণিজ্যিক প্রয়োগের পেটেন্ট পেয়েছেন। এর লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র আবিষ্কার, যা শুধু ইলেকট্রিক চার্জের প্রবাহেই চলবে না, চার্জের ঘূর্ণনের ফলে যে বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি হবে তাও কাজে লাগাবে। অর্থাৎ এই যন্ত্র তৈরি হলে শক্তি বা জ্বালানি তৈরির নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

২১ জানুয়ারী ২০১০


ওগো দয়াময় রহিম রহমান


ওগো দয়াময় রহিম রহমান
কেমনে বুঝাব তোমারী শান?
খালিক তুমি মালিক তুমি
সৃষ্টি জগত তোমারি দান।

সূর্য দিয়েছ আলো ভরা
চন্দ্র দিয়েছো সাথে তারা,
রাত দিয়েছে জোৎস্না ভরা
সৃষ্টি জগত আত্নহারা।

নদী বয় ছলছল কলকল
দীঘি ভরা সচ্ছ পানি টলমল।
সুগন্ধ ভরা হরেক ফূল
মন ভরিয়ে করে মাতাল।

শষ্য শ্যামল মাঠ দিয়েছো
সাথে আরো বৃক্ষ রাজি,
মানবের শান্তির তরে
ফুল-ফলে দিয়েছো সাজি।

অপার করুনা ওগো প্রভু
শেষ হবেনা বলে কভু,
তোমার দয়ার ফল্গুধারা
পেয়ে আমি আত্নহারা।

তোমারি অবাধ্য প্রতিক্ষন
তবু রহমত কর বর্ষন,
দয়ায় তোমার বেঁচে আছি
শোকর তাই করি ...

১১ নভেম্বর ২০০৯

সায়েন্স ফিকশন
ম্যাডিনাসের আগন্তুক
ফয়সাল মাহমুদ

অজু করতে গিয়ে তফিজ মিয়া ঝোপের ভিতর কিছু একটার নড়াচড়া দেখতে পেলেন। তিনি কে কে? বলে চেঁচিয়ে উঠলেন। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আবার অজু করতে বসলেন। তফিজ মিয়া বাইতুল হিকমাহ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। খুব পরহেজগার বলে তার একটা সুনাম আছে। কিছু লোকের ধারণা তিনি জিন-পরী নিয়ে কারবার করেন। জীন-পরী ধরে ধরে বোতলে ভরে রাখেন। অনেকে আবার একটু বাড়িয়ে বলে যে তারা নাকি তফিজ মিয়াকে অদৃশ্য ধমকাতে দেখেছেন। কিন্তু আসল ঘটনা হল তফিজ মিয়া ভিতু ধরনের একজন মানুষ। জীন-পরী বোতলে ভরে রাখাতো দুরে থাক তাদের ভয়ে পারলে তিনিই বোতলে ঢুকে থাকেন। ফজরের আজান দেয়ার জন্য তাকে শেষ রাতের দিকে মসজিদে আসতে হয়। বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় যত রকম দোয়া আছে সেগুলো পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে বের হন। বের হবার পর মসজিদ পর্যন্ত প্রায় চোখ বুজে দোয়া পড়তে পড়তে মসজিদে উপস্থিত হয়ে হঁ্বাফ ছাড়েন।
দ্বিতীয়বার তিনি ঝোপের ভেতর নড়াচড়া দেখতে পেলেন। আবার তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন কে! কে ওইহানে?” একটা অজানা আতঙ্ক তাকে ঘিরে ধরল। এত রাতে এখানে কে আসবে? তাহলে কি?---। তিনি দ্রুত সব দোয়া পড়তে লাগলেন। এই সময় ঝোপের ভিতর থেকে এক অপার্থিব ভয়ঙ্কর দর্শন প্রাণী বের হয়ে এলো। ৪ ফুট লম্বা অনেকটা মানুষের মত। কিন্তু মুখটা খুব ভয়ঙ্কর। মাথাটা শরীর হিসাবে বড়। চোখ দুটো কোটরাগত। তফিজ মিয়া হিস্টোরিয়া রোগীর মত কাঁপতে লাগলেন। প্রাণীটা তার কাছাকাছি এসে যন্ত্র কণ্ঠে বলল “আপনার সাহায্য চাই”। তফিজ মিয়া সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পরে গেলেন।
জ্ঞান ফেরার পর তফিজ উদ্দিন বুঝতে পারলেন না যে তিনি কোথায় আছেন। চারপাশে অনেক লোক জড়ো হয়ে আছে। তাদের মধ্যে ইমাম সাহেব ও আছেন। তফিজ মিয়া বুঝতে পারলেন যে তিনি বাড়িতে আছেন। ইমাম সাহেব বললেন কি মিয়া ফিট হইলা ক্যমনে। ডরাইছিলা নাকি? সবাই তার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়া আছে। এমন সময় তার মনে পড়লে যে তিনি অজু করছিলেন। এমন সময় ভয়ংকর দর্শন এক প্রাণী তার কাছে এসে মানুষর মত বলল, “আপনার সাহায্য চাই,” প্রাণীটার চেহারা মনে পরে তফিজ মিয়া আবার জ্ঞান হারালেন।
ভয়ংকর একটা দুঃস্বপ্ন দেখে তার ঘুম ভাঙ্গলো। ঐ ভয়ংকর দর্শন প্রানীটা একটা ত্রিশূল হাতে নিয়ে তার দিকে ছুটে আসছে। তিনিও রীতিমত দৌড়াচ্ছেন। এক সময় জন্তুটা তার খুব কাছাকাছি এসে গেল। এমন সময় তার পায়ে গাছের মত শিকড় হয়ে মাটিতে লেগে গেছে। তিনি অনেক চেষ্টা করেও সামনে এগোতে পারলেন না। চিৎকার দিতে গেলেন। কিন্তু গলা দিয়ে শব্দ বের হল না। প্রাণীটা তার সামনে এসে অপার্থিব হাসি হাসছে। এমন সময় বিকট চিৎকার দিয়ে তার ঘুম ভাঙলো। ঘরের ভিতর যারা ছিল তারা প্রচন্ড চমকে উঠলো। তার মাথার কাছে বসে ইমাম সাহেব সূরা ইয়াছিন পড়ছিলেন। চিৎকার শুনে তার পড়া থেমে গেছে। ঘরে বেশি লোক নেই ইমাম সাহেব, মসজিদের খাদেম মাহতাব আর তফিজ মিয়ার একমাত্র মেয়ে ১১ বছরের লুৎফন। মেয়েটা তার পায়ের কাছে বসে ফুঁপিয়ে বলল বাজান তুমি এমন করতাছো ক্যান? কি হইছে তোমার? মেয়েটার কথা শুনে তফিজ মিয়ার চোখে পানি এসে গেল। মেয়েটা বড় মায়াবতী কিন্তুু অসহায়। তার চোখগুলো অনেক সুন্দর। সৃষ্টিকর্তা তাকে অনেক সুন্দর চোখ দিয়েছেন। কিন্তু তাতে আলো দেননি। পৃথিবীর অনেক চমৎকারও ভয়ঙ্কর সৌন্দার্য থেকে সে বঞ্চিত। ইমাম সাহেব বললেন “তফিজ তোমার কি হইছে তুমি কি জিন টিন দেইখা ভয় পাইছো নাকি? তফিজ চুপ করে রইলো। ইমাম সাহেব বললেন, বুঝছি “এখন কইবানা ঠিক আছে যহন মনে চাইবে তহনই কইয়ো যাই নামাজের টাইম অইছে। তুমি ভালো থাইকো। আমি পারলে নামাজের পর আবার আসুম নে। ইমাম সাহেব চলে যাবার পর মেয়েটা তার মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বোলাতে লাগলো। তুমি মিয়া আবার ভাবতে লাগলো মেয়েটা আসলেই জনম দুঃখী জন্মের সময়ই মা মারা যায় তার। মায়ের আদর থেকেও সে বঞ্চিত। তফিজ মিয়া পানির তৃষ্ণা অনুভব করলেন। মেয়েকে বললেন “মা আমারে একটু পানি খাওয়াইতে পারিবা”। লুফুন উৎসাহে বলে উঠল ” পারমু না ক্যান অক্ষণই আনতাছি।” মেয়েটা দেয়াল হাতরে হাতরে পানি আনতে চলে গেল।
এমন সময় শার্ট -প্যান্ট পরা এক লোক ঘরে ঢুকলো। তফিজ মিয়ার কাছাকাছি এসে যন্ত্র কন্ঠে বলল, আপনার সাহায্য চাই” অবিকল সেই ভয়ংকর দর্শন প্রাণীর মত। তফিজ মিয়ার মনে ভয় জেগে বসল। তিনি বললেন আপনে কেডা? লোকটি বলল “আমি এসেছি ম্যাডিনাস থেকে আমার নাম এপতান। এমুন নামতো জীবনে শুনি নাই। এইডা কোন জায়গা? তছির বলল।
এপতাব বলল, “আপনি শুনবেন কিভাবে। পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে আমাদের গ্রহ। পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীও এটার সন্ধান এখন পর্যন্ত পায়নি।
তফিজ মিয়া অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে এপতানের দিকে তাকালো। ভাবলো, লোকটা মনে হয় পাগল। কি সব ম্যাডিনাস বলেছে। এপতান তফিজের দৃষ্টি বুঝতে পেরে বলল, “আজ ভোরে আপনি যে প্রাণীটা দেেিছলেন সেই আমি”। এবার তফিজ মিয়ার চোখ উল্টো যাবার মত অবস্থা। এপতান বলল “ভয় পাবেন না। আমি আপনার কোন ক্ষতি করবো না। আপনি তোমাকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন বলে আমি মানুষের রূপ নিয়ে এখানে এসেছি। আর আমি কিন্তু আমার গ্রহের ভাষায়ই কথা বলছি। একটা যন্ত্রের মাধ্যমে তা রূপান্তরিত হয়ে আপনার ভাষায় শোনা যাচ্ছে। এখন আসল কথা হচ্ছে আমি আপনার সাহায্য চাই। তফিজের ভয়টা এখনো যায়নি। সে বলল তাপনেরে আমি ক্যমনে সাহায্য করমু। এপতান বলল “আমি বের হয়েছিলাম গ্রহ ভ্রমণে। এই সবজি গ্রহটা দেখে ভাবলাম এখানে ল্যান্ড করি। কিন্তু ল্যান্‌ করার সময় গাছের সাথে বাড়ি খেয়ে স্পেসসীপের মূল কম্পিউটার অনেক ক্ষতি হয়। এখনই এই কম্পিউটার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমি যেতে পারবো না।। এটা ঠিক করার জন্য আপনার সাহায্য দরকার। তফিজের ভয় এবার কিছুটা কমেছে। সে বলল আমি অশিক্ষিত মানুষ আমি এইটা ঠিক করমু ক্যমনে?” এপতান বলল “আপনাকে কিছুই করতে হবে না আমি শুধু আপনার মাথাকে কিছুক্ষণের জন্য ব্যবহার করতে চাই। তফিজ বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসা করল “জি মানে”। এপতান বলল “আমি একটা পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছি যে আমার মূল কম্পিউটারের চেয়ে মানুষের ব্রেন বেশি কার্যকরী। আমি কিছুক্ষণ আপনার ব্রেইন ব্যবহার করে আমার স্পেসসীপটা চালু করলেই আপনার কাজ শেষ।” তফিজ মিয়া লজ্জা পেয়ে বলল, কি যে বলেন, আমার যদি এত বেরেন থাকতো তাইলে আমি জজ ব্যারিস্টার অইতাম।”
এপতান বলল “আমি ও তো তাই বুঝতে পারছিনা যে আপনাদের মস্তিস্ক এত কার্যক্ষম হওয়া সত্ত্বেও আপনারা এক পিছিয়ে আছেন কেন? কিন্তু আমাদেরকে দেখুন আপনাদের পৃথিবীর লোকের তুলনায় আমাদের ব্রেইন তিন ভাগের এক ভাগ। অথচ আমারা তা কাজে লাগিয়ে আপনাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে আপনাদের আরো ১০০ বছর লেগে যাবে। এখন আপনি বলুন আমাকে সাহায্য করবেন কিনা। তফিজ মিয়া জড়ানো কনেণ্ঠ বলল, “আমার যদি কিছু হইয়া যায় তাইলে আমার মা মরা মাইয়াটা ক্যমনে থাকবো? এপতান বলল আপনার কিছুই হবে না। তফিজ চোখ মুছতে মুছতে বলল চলেন”। তফিজ এপতানের পিছন পিছন ঝোপের ভিতর ঢুকলো। তারপর দেখলো। বিশাল গামলার মত একটা জিনিস। ওপরে কাচের ঢাকনা। ভিতরে কয়েকটা লাইট জ্বলছে আর নিভছে। এপতান বলল “এখানে শুয়ে পড়ুন”। তফিজ শুয়ে পড়লো। তার মাথায় হেলমেট জাতীয় একটা জিনিস লাগানো হল। কিছুক্ষণ পর তার চোখের সামনে সব অচেনা দৃশ্য ভেসে উঠলো। একবার দেখলো এক কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করছে। আবার দেখলো পিঁপড়ার মত একটা জিনিস তবে বিশাল বড়। চারদিকে বিশাল বিল্ডিং। সব অপরূপ দৃশ্য। কিছুক্ষণ পর তার চোখের সামনে সব থেমে গেল। এপতান তফিজের মাথা থেকে হেলমেটটা খুলে ফেলল। এপতান তার দিকে হাত বাড়িয়ে বলল “উঠে আসুন কাজ শেষ।” তফিজ উঠে এল। তার মাথা ব্যথা করছে। এপতান বুঝতে পেরে বলল ব্যথাটা কিছুক্ষণ পরে চলে যাবে। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি সাহায্য না করলে আমি হয়তো আমার গ্রহে ফিরে যেতে পারতাম না।” এপতান তফিজ মিয়াকে জড়িয়ে ধরলো। তফিজ মিয়ার চোখে পানি এসে গেল। সে এত ভাল লোক জীবনে দেখেনি। এপতান বলল আমার পক্ষে থেকে আপনার জন্য ছোট্ট একটা উপহার আছে। সেটা পরে বুঝতে পারবেন। আশা করি সেটা আপনাকে খূশি করবে।” এপতানের দেহটা পাল্টাতে শুরু করলো। আবার সেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করলো। তবে তফিজ মিয়া এবার আর ভয় পেলোনা। বরং এপতানকে তার কেমন যেন আপন মনে হল। এপতান স্পেসসীপের ভিতর ঢুকতেই কাচের ঢাকনাটা লেগে গেল। ভিতর থেকে তফিজের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লো। এপতান, তফিজ ও হাত নেড়ে বিদায় জানালো।
স্পেসসীপটা আস্তে আস্তে উপরের দিক উঠতে উঠতে শূন্যে মিলিয়ে গেল। বাড়িতে ঢুকতেই তফিজের চিন্তা হল মেয়েটা এতক্ষন কিভাবে একা একা ছিল। নিশ্চয় ভয় পেয়েছে একা একা। তফিজ জোর গলায় ডাকলেন, “মা লুৎফুন, কই গেলি রে মা” লুৎফন ঘরের ভিতর থেকে কেমন করে যেন হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে এল। তফিজ মিয়া ভয় পেয়ে গেল। তার মেয়ে এভাবে হাঠছে কেন? তিনি প্রায় দৌড়ে গিয়ে মেয়েকে ধরলেন যেন পরে না যায়। মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি কি আমার বাজান?” তফিজ মিয়া ভয় পেয়ে গেলেন। তার মেয়ে এসব কি বলছে। তফিজ মিয়া বলল ক্যান রে মা তোর হইছে?” মেয়েটা তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, “বাজান আমি সব দেখতে পাইতাছি” তফিজ মিয়ার গলা দিয়ে কিছুক্ষণ কোন কথা বের হলোনা। তিনি বুঝতে পারলেন যে এটা এপতানের উপহার। তিনি মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলেন। লুৎফুন ও তার বাবাকে জড়িয়ে কেঁদে উঠলো। তফিজ মিয়া এপতানের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করল।
বাবা আর মেয়ে দুজনে পুকুরের পাশে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। লুৎফুন বলল, “বাজান ওইডা কি?” তফিজ মিয়া বলল, ওইডা হইল আকাশ। আকাশে ছোট্ট ছোট্ট ঐগুলি কি বাজান? ‘ঐ গুলান হইলো তারা। বাজান দ্যাহো একটা তারা চইলা যাইতাছে। “ঐডা তারা না,ঐডা হইল এপতানের গাড়ি। এপতান হইলো ম্যাডিনাসে থাকে। ম্যাডিনাস কি বাজান? ম্যাডিনাস হইলো একটা গ্রহ, তফিজ বলে। গ্রহ কি বাজান? তফিজ বুঝতে পারলো মেয়ের প্রশ্ন আজ আর শেষ হবে না। অবশ্য প্রশ্নের উত্তর দিতে তার খারাপ লাগছে না। সে ভাবলো আজ সারারাত মেয়ের প্রশ্নের উত্তর দিয়েই কাটিয়ে দেবে। মেয়েটা কিছুই চেনেনা তাকে সব চেনাতে হবে।
সুএ : http://www.bbaria.com/kanamachi/science.html

২১ আগস্ট ২০০৯

জেনে রাখা ভাল

  • পাশের দেশ ভারতে এক জরিপে করে দেখা গেছে, সেখানে মোট বানরের সংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি।

  • এটা জানো! গরু সহজেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারে, কিন্তু নামার বেলায় কোনভাবেই নামতে পারে না।

  • আগুন বা আলো দেখলেই মথ কেনো ঝাঁপিয়ে পড়ে, বল তো? ওরা কিন্তু আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় না, আলোর পেছনের অন্ধকারই ওদেরকে টানে বেশি।

  • একজন মানুষ কোন খাবার না খেয়ে বাঁচতে পারে এক মাস, কিন্তু পানি পান না করলে এক সপ্তাহের বেশি বাঁচতে পারে না।

  • চা আবিষ্কার হয় চীনে, আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়। নিউ ইয়র্কে ১৯০৯ সালে টমাস স্যুলিভান প্রথম টি-ব্যাগের প্রচলন করেন।

    চা আবিষ্কার হয় আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে চীনে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়।

  • মশা কামড় দেয় না, হুল ফোঁটায়, এটা তো সবাই জানো। তাই বলে মশার যে দাঁত নেই, তা কিন্তু নয়। মশার সর্বমোট ৪৭টি দাঁত আছে।

  • মানুষের মতো একেক দেশের গরুও কিন্তু একেক ভাষায় ডাকে!

  • যখন তুমি হাঁচি দাও, তখন তোমার মস্তিষ্কের কিছু কোষ মারা যায়। কিন্তু, হাঁচি আসলে কী করবো?

  • উড়ার সময় বাদুড় সবসময় বামদিকে মোড় নেয়, কখনো ডানদিকে যায় না।

  • ডলফিনরা ঘূমানোর সময় এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।

  • তোমার শরীরে হাড্ডির সংখ্যা ২০৬ টি। তবে জন্মের সময় তোমার হাড্ডির সংখ্যা ছিল ৩০০টি। কেউ যদি জন্মাবার সময় গুনতে পারে, তাহলে চেষ্টা করে দেখ।

  • মাথা কাটা পড়লেও তেলাপোকা বেঁচে থাকে কয়েক সপ্তাহ! ঐ কয়দিন কিভাবে সে খানাপিনা করে কে জানে?

  • ওক গাছ প্রায় ২০০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। আর ৫০ বছর বয়স না হলে এই গাছে কোন ফল ধরে না।

  • অনেকেই জানে না লিপস্টিকে মাছের আঁশ থাকে।

  • আমেরিকার ‘দি নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সংবাদপত্রের রবিবারের সংখ্যাটি ছাপতে যে পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন তার জন্য ৬৩ হাজার গাছ কাটতে হয়।

  • সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৪৯২ সেকেন্ড।

  • মানুষের মাথার চুল মৃত্যু অবধি বাড়তে থাকে। এভাবে মানুষের চুল প্রায় ৫৯০ মাইল লম্বা হতে পারে।

  • শামুক একটানা তিন বছর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে।

  • সিংহের গর্জন পাঁচ মাইল দূর থেকেও স্পষ্ট শোনা যায়।

  • কুমিরের দাঁত পড়ে গেলেও কোন সমস্যা নেই। একটা দাঁত পড়ে গেলেই কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে নতুন আরেকটা দাঁত গজায়। এমনকি বুড়ো বয়সেও।

  • প্রত্যেক মানুষের হাতের ছাপের মতো জিহ্বার ছাপও পুরোপুরি আলাদা। কারোটার সাথে কারোটার কোন মিল নেই।

  • বিগত চার হাজার বছর মানুষ নতুন কোন প্রাণীকে পোষ মানাতে পারেনি।

  • বিশ্বাস করো আর নাই করো, পৃথিবীতে মানুষের বেশি ব্যবহৃত নাম মোহাম্মদ।

  • তোমার বয়স যখন ৭০ বছর হবে ততোদিনে তোমার ১২ হাজার গ্যালন পানি পান করা হয়ে যাবে।

  • মানুষ তার সারাজীবনে যে খাদ্য খায় তার পরিমাণ কতো জানো? ৬০ হাজার পাউন্ড। তার মানে ৬টি জলজ্যান্ত হাতির সমান!

  • পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের যদি প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস থাকতো, তাহলে পৃথিবীর পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানির বেশিরভাগই একদিনেই নোংরা হয়ে যেতো। বাঁচা গেছে!

  • প্রতিবছর তুমি কতবার চোখের পলক ফেলো তার হিসেব রাখো! এক কোটি বার!

  • এন্টার্কটিকা হচ্ছে সবচেয়ে ঠাণ্ডা মহাদেশ। যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে থাকে সবসময়। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১২৬.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট রেকর্ড করা হয়েছে।

  • ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে উঠবে ততই ঠাণ্ডা। মাত্র ১০ মাইলের উপরে তাপমাত্রা কত জানো। মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

  • শিশুরা কথা বলতে শিখলেই নানান প্রশ্ন করে। একটি ৪ বছরের শিশু প্রতিদিন গড়ে ৪৩৭টি প্রশ্ন করে।

  • তোমার পেন্সিলের লেড (গ্রাফাইট) আর হীরক একই পদার্থ থেকে তৈরি। উভয়ই বিশুদ্ধ কার্বনের রূপ। পৃথক পৃথক চাপ আর তাপমাত্রার কারণে একটি সস্তা গ্রাফাইটে আরেকটি বহুমূল্যবান হীরকে রূপান্তরিত হয়।

  • টুথ ব্রাশ আবিষ্কার হয় ১৪৯৮ সালে। তার আগের মানুষ দাঁত ব্রাশ করতো কীভাবে!

  • কোমল পানীয় কোকাকোলায় এক ধরনের রঙ মেশানো হয়। রঙ না মেশালে কোকাকোলার রঙ সবুজ হতো।

  • চোখ খুলে হাঁচি দেখা সম্ভব নয়। আয়নায় চেষ্টা করে দেখতে পারো।

  • আমরা একটু বেশি খেলেই মুটিয়ে যাই। কিন্তু পাফিন (এক জাতের হাঁস) সারাদিন ধরে তার নিজ দেহের ওজনের সমান খাবার খায়। তারপরও সে মোটা হয় না। এটা কি ঠিক হলো?

  • আজ যদি তোমার জন্মদিন হয় তাহলে জেনে রেখো তুমি পৃথিবীর প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে তোমার জন্মদিন পালন করছো। কারণ আজ ওদেরও জন্মদিন।

  • আমেরিকার ইলিনোয়স রাজ্যে আছে এক অদ্ভূত আইন। সেটা হচ্ছে, কোন মৌমাছি এই শহরের উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারবে না।

  • জিরাফের গলা লম্বা- কে না জানে। কিন্তু জিরাফের কাশি হলেও সে কখনো কাশতে পারে না। হায় রে!

  • তোমরা হয়তো মনে করো যে, শামুকের কোন দাঁত নেই। অথচ শামুকের ২৫ হাজার দাঁত আছে। কল্পনা করো শামুক যদি কখনো তোমাকে কামড় দেয় তাহলে কি হবে।

  • একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া ৯ দিন দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে।

  • তোমার যদি একটি তারা গুণতে এক সেকেন্ড সময় লাগে, তাহলে একটি গ্যালাক্সির সব গুণে শেষ করতে ৩ হাজার বছর লাগবে। দোয়া করি দীর্ঘজীবী হও।


  • একটি রক্তকণিকা আমাদের পুরো দেহ ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ২২ সেকেন্ড।

  • তুমি ৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন একটানা চিৎকার করলে যে শক্তি খরচ হয়। তা দিয়ে এক কাপ কফি অনায়াসে বানানো যাবে। কি, চেষ্টা করে দেখবে?

  • তুমি খালি চোখে কতো দূরত্ব দেখতে পাও জানো? দুই দশমিক মিলিয়ন আলোকবর্ষ। মানে ১৪ এরপর ১৯টি শূন্য বসালে যে সংখ্যাটি হয় সেই দূরত্ব।

  • তুমি প্রতিদিন কথা বলতে গড়ে ৪৮০০টি শব্দ ব্যবহার করো। বিশ্বাস না হলে এখনই গুনতে শুরু করতে পারো।

  • কাঁচ আসলে বালি থেকে তৈরি হয়।

  • প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা শুকনো তরমুজকে মাথার হেলমেট হিসেবে ব্যবহার করতো।


  • মানুষ তার জীবনের তিন ভাগের একভাগ সময় শুধু ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। অর্থাৎ একটি মানুষের বয়স যদি ৬০ বছর হয়, তাহলে সে ২০ বছর স্রেফ ঘুমিয়ে থাকে।

  • পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই হচ্ছে পোকামাকড়।


  • টমেটো আসলে এক প্রকার সবজি। কোনো ফল নয়।

  • বজ্রপাতের সময় আলোর যে বিচ্ছুরণ ঘটে তার তেজ থাকে ৯ লাখ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যা সূর্যের উপরিভাগের তাপমাত্রার তিনগুণেরও বেশি।

  • জিরাফের লম্বা গলায় মাত্র ৭টি হাড় আছে।

  • একটি মাছির গড় আয়ু মাত্র ১৭ দিন। দুঃখই বলতে হবে মাছিরা জন্মদিন পালন করতে পারে না।

  • পৃথিবীর সব সাপই ছন্নছাড়া। কিন্তু কিং কোবরা পৃথিবীর একমাত্র সাপ যে বাসা বাঁধে।

  • চায়নায় কোন জাতীয় ফুল ও পাখি নেই।

  • তুমি তো জানোই হাঙর মানুষকে হাতের কাছে পেলে মেরে ফেলে। কিন্তু অবাক ব্যাপার হচ্ছে প্রতিবছর হাঙরের হাতে যে পরিমাণ মানুষ মরে তার চেয়ে মানুষের হাতেই হাঙর মরে বেশি।

  • সিংহের গর্জন ৫ মাইল দূর থেকেও দিব্যি শোনা যায়।

  • বিড়ালের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ১০০.৪ ফারেনহাইট থেকে ১০২.৫ ফারেনহাইট। থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখতে পারো।

  • বাচ্চা বিড়াল চোখ বন্ধ অবস্থায় জন্মায়। ৭ থেকে ১৪ দিন এভাবে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।

  • তুমি কি জানো, একটি হাতি প্রতিদিন গড়ে ১৩৬ কেজি খাবার খেয়ে থাকে। কী রকম খাদক রে!

  • শিম্পাঞ্জি অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে (মানুষ ছাড়া) বেশি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে।

  • নীল তিমি সবচেয়ে বড় প্রাণী। এর ওজন গড়পড়তা ১২৫ টন হয়ে থাকে। যা প্রায় ১৮০০ জন মানুষের ওজনের যোগফল।

  • একটি বাদুড় কমসে কম ৩০ বছর বেঁচে থাকে।

  • বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে। আর কুকুর পারে মাত্র ১০ রকম।


  • স্টারফিসের কয়টি চোখ জানো কি? ৮টি। স্টারফিসের প্রতি বাহুতে একটি করে চোখ থাকে।

  • পৃথিবীর প্রধান নভোচারী কে ছিল জানো তো। একটি কুকুর। যার নাম ছিলো লাইকা।

  • চায়নায় লাল রঙকে সৌভাগ্যের রঙ হিসেবে দেখা হয়।

  • প্রাচীনকালে শুধু চায়নায়ই রেশম চাষ হতো। তা হতো কড়া পাহারায়। কেউ এই গোপনীয়তা ফাঁস করার চেষ্টা করলে তার শাস্তি হতো মৃত্যুদণ্ড।

  • আইসক্রিম সর্বপ্রথম কোথায় তৈরি হয়েছিল জানো? চায়নায়। তাও খ্রিস্টের জন্মেরও দুইহাজার বছর আগে।

  • তুমি চোখ খুলে কখনোই হাঁচি দিতে পারবে না। বিশ্বাস না হলে এক্ষুণি চেষ্টা করে দেখা।

  • তোমার মতোই শিম্পাঞ্জিরাও হ্যান্ডশেক করে ভাব বিনিময় করে!

  • অক্টোপাসকে কি হৃদয়বান বলা যায়? ওর দেহে যে তিনটি হৃৎপিণ্ড আছে!

  • ১০০ বছর আগেও বোর্নিওতে মানুষের মাথার খুলি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

  • একটি পোকাখেকো ফ্যালকন পাখি তোমার চেয়েও চোখে বেশি দেখে। সে আধামাইল দূর থেকেই একটা ফড়িংকে ঠিক ঠিক শনাক্ত করতে পারে।

  • অতীতে রোমান সৈন্যরা বিশেষ এক ধরনের পোশাক পরত। এই পোশাকটাই এখন মেয়েদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। পোশাকটার নাম স্কার্ট।

  • ডলফিন একচোখ খোলা রেখে ঘুমায়। তুমিও একটু চেষ্টা করে দেখো, সম্ভব কি না।

  • তুমি কি জানো, এক পাউন্ড বিশুদ্ধ তুলা থেকে ৩৩ হাজার মাইল লম্বা সুতা তৈরি সম্ভব!

  • আমাদের ত্বকের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় ৬২৫টি ঘামগ্রন্থি আছে। ওগুলো এতো সূক্ষ্ম যে তুমি গুনে দেখতে চাইলেও পারবে না।

  • পৃথিবীর সব সাগরে যে পরিমাণ লবণ আছে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৫০০ ফুট পুরু লবণের স্তুপ দিয়ে ঢেকে ফেলা যাবে।

  • গ্যালিলিও দূরবীন আবিষ্কার করার আগে মানুষ খালি চোখে আকাশে মাত্র পাঁচটি গ্রহ দেখতে পেতো!

  • জলের হাতি বা জলহস্তি পানির নিচে ৩০ মিনিট দম বন্ধ করে থাকতে পারে।

  • ফড়িংয়ের কান মলে দিতে চাইলে কিন্তু একটু সমস্যা হবে। কারণ ফড়িংয়ের কান হাঁটুতে।

  • কাঠঠোকরা এতো যে কাঠ ঠোকড়ায় তাতে ওর মাথা ব্যথা হয় না? না, হয় না। কারণ কাঠঠোকরার খুলির চারপাশে অনেকগুলো বায়ু প্রকোষ্ঠ আছে, যা নরম কুশনের কাজ করে।

  • ভালুক অলস হলে কি হবে, সে প্রতি ঘণ্টায় ৪৮ কিলোমিটার (৩০ মাইল) গতিতে দৌড়াতে পারে।

  • তুমি তো গাছ থেকে সহজেই খাবার পাও। কিন্তু জানো কি এক পাউন্ড খাবার তৈরি করতে গাছের প্রায় ১০০ পাউন্ড বৃষ্টির পানি খরচ করতে হয়।

  • পৃথিবীর ওজন কতো জানো? ৬৬-এর ডানপাশে ২০টি শূন্য বসালে যে সংখ্যাটি হয় সেটাই পৃথিবীর ওজন। এবার নিজেই হিসেব করে দেখো।

  • গিরগিটির জিহ্বার আকার তার শরীরের চেয়েও বড়। যতো বড়ো মোবাইল নয় তত বড় সীম, আর কি!

  • একজন মানুষ প্রতিদিন যে পরিমাণ বাতাস শ্বাস হিসাবে গ্রহণ করে তা দিয়ে একটি নয় ১০০০টি বেলুন ফোলানো সম্ভব।

  • ২০০৪ সাল পর্যন্ত মোট ২২৪৯ জন অভিযাত্রী এভারেস্ট জয় করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৮৬ জন।

  • প্রথম এভারেস্ট জয়ী ‘শেরপা’ শুধু শেরপা তেনজিং নোরগের একার নামের মধ্যে আছে এমন নয়। বরং শেরপা হলো একটা পুরো গোত্রের নাম।

  • একটা কথা কি জানো হিমালয় পর্বতের যে উচ্চতা রয়েছে তা কিন্তু বাড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবছর প্রায় ৪ মিলিমিটার করে বাড়ছে হিমালয়ের উচ্চতা!

  • সমুদ্র সমতল থেকে হিসেব করলে পৃথিবীর দ্বিতীয় সবোর্চ্চ শৃঙ্গ পাকিস্তান ও চীন সীমান্তের কে-টু পাহাড়। এর উচ্চতা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট (৮ হাজার ৬১১ মিটার)।

  • আপেল খেতে যতই স্বাদ লাগুক, জেনে নিও আপেলের ৮৪ ভাগই পানি।

  • সবচেয়ে লম্বা ঘাসের নাম জানো? বাঁশ। এই ঘাস লম্বায় ১৩০ ফুটও হতে পারে।

  • প্রতি মিনিটে তোমার শরীর থেকে প্রায় ৩০০টি মৃত দেহ কোষ ঝরে পড়ছে।

  • সাপ হচ্ছে একমাত্র সত্যিকারের মাংসাশী প্রাণী। কারণ অন্য প্রাণীরা কিছু না কিছু উদ্ভিদ জাতীয় খাবার খেলেও সাপ কখনোই তা করে না।

  • প্রতি চার মিনিটে মায়েরা একবার তার সন্তানের কথা ভাবেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২১০ বার সন্তানের কথা চিন্তা করেন একজন মা।

  • প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে মা দিবসে প্রায় ১৫ কোটি ২০ লাখ কার্ড বিলি হয় মায়েদের কাছে।

  • সবচেয়ে ছোট ডাকটিকেটটি ছিলো ৯.৫ x ৮ মিমি। ১৮৬৩ সালে এই টিকেটটি প্রকাশ করেছিলো বলিভারের কলাম্বিয়ান স্টেট।

  • এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে চীন। বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে তারা ২১০ x ৬৫ মিমি মাপের ডাকটিকেটটি প্রকাশ করে।

  • ডাকটিকেটের পেছনে প্রথম আঁঠা লাগানোর পদ্ধতি চালু করে সিয়েরা লিয়ন নামের আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। সালটা ছিলো ১৯৬৪।

  • ডাকটিকেট কখনো কলার মতো হয়! শুনে তুমি অবাক হবে, কিন্তু উত্তরটা হচ্ছে, হ্যাঁ হয়। প্যাসিফিক আইল্যান্ড অব টঙ্গা কলার মতো দেখতে একটি ডাকটিকেট প্রকাশ করেছিলো একবার।

  • মানুষের নখ প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে।

  • মানুষের শরীরের রক্ত শরীরের ভেতর প্রতিদিন ১৬ লাখ ৮০ হাজার মাইল সমান পথ অতিক্রম করে।

  • মানুষ প্রতিদিন ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস শ্বাস প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহার করে।

  • মানুষের কান প্রতি বছর এক ইঞ্চির প্রায় ০.০০৮৭ অংশ করে বাড়ে। ভাগ্যিশ! বেশি বাড়লে শেষে একেবারে গাধার কানের মতো লম্বা হয়ে যেতো!

  • দাড়িপাল্লায় যদি ওজন করা সম্ভব হতো তাহলে পৃথিবীর ওজন ৮১টি চাঁদের ওজনের সমান হতো।

  • নীল তিমিই প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে জোরে শব্দ করতে পারে। পরস্পর ভাববিনিময়ের সময় ওরা যে শিস দেয়, সেটা ৫৩০ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়।


  • অংকে এক মিলিয়ন লিখতে ৭টি সংখ্যা লাগে। তেমনি ইংরেজিতে মিলিয়ন শব্দটি লিখতে ৭টি অক্ষর লাগে।

  • পিঁপড়েও চিরুনি ব্যবহার করে। শুধু কি তাই ওরা নিজের কাছে চিরুনি রাখেও সবসময় সামনের দুপায়ের ভাঁজের কাছে। যা দিয়ে প্রয়োজন মতো নিজেকে একটু পরিপাটি করে নেয়।

  • তুমি যদি ড্রাগনফ্লাই বা গঙ্গা ফড়িংয়ের সঙ্গে দৌড়ে পাল্লা দাও, তাহলে হেরে যাবে নিশ্চিত। কারণ ড্রাগনফ্লাই ঘন্টায় ৩০ মাইল পথ উড়ে যেতে পারে।

  • নাকের বদলে পা দিয়ে নিঃশ্বাস নিলে কেমন হবে বলো তো? স্যান্ড বারলার ক্র্যাব (এক প্রকার কাঁকড়া) তার পা দিয়েই বিশেষভাবে নিঃশ্বাস নেয়। কারণ ওর নাক নেই।

  • বোলা স্পাইডার নামের এক ধরনের মাকড়শা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো করে পোকামাকড় ধরে খায়।

  • কোয়েলা ঘুম কাতুরে। ওরা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায়।

  • পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই হাসতে পারে। এই তুমি কি হাসতে পারো? না পারলে মানুষের খাতা থেকে তোমার নাম কাটা।

  • কেঁচোর কোন চোখ না থাকায় সে অন্য প্রাণীদের মতো দেখতে পায় না। তবে সমস্যা নেই, ত্বকের বিশেষ ধরনের কোষের সাহায্য চারিপাশের অবস্থা সে ঠিকই বুঝতে পারে।

  • তোমার পুরো শরীরের মাংসপেশী আছে মোট ৬৫০টি। গুনে দেখবে একটু?

  • আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবী ৫০টি চাঁদের সমান। অর্থাৎ পৃথিবীর সমান আয়তনে কোনো পাত্রে ৫০টি চাঁদ রাখা যাবে।

  • তোমরাই বলো, জাল ছাড়া আবার মাকড়সা হয় নাকি! কিন্তু বোলা স্পাইডার নামে এক ধরনের মাকড়সা আছে যারা কোন জালই বোনে না।

  • ঘোড়ার নাকের ফুটো দুটো শুধু আকারেই বড় নয়, কাজেও ঠিক তেমনি। ঘোড়ার রয়েছে অসাধারণ ঘ্রাণশক্তি।

  • কেঁচোকে সারাজীবনে কখনোই চশমা পরতে হয় না। কেন জানো? কারণ ওর শরীরে কোন চোখই নেই।

  • মানুষের শরীর থেকে প্রতিদিন গড়ে এক চা কাপের সমান ঘাম ঝরে।

  • মাত্র ৫ লিটার মধু খেয়ে এক একটি মৌমাছির ঝাঁক ৪০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে।

  • একটি কলার শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পানি। তুমি যদি ছোট্ট এক গ্লাস পানির বদলে এক গ্লাস কলা খাবো বলো, তাহলে কিন্তু খুব একটা ভুল হবে না!

  • জানোই তো একজন মানুষের আঙুলের ছাপ আরেকজন মানুষের চেয়ে ভিন্নতর। তেমনি ঠোঁটের ছাপ ও একজনের চেয়ে আরেকজনেরটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

  • মাশরুমে প্রোটিনের পরিমান আলুর চেয়ে দ্বিগুন, টমেটোর চারগুন এবং কমলা লেবুর ছয় গুন বেশি। তাই বলে মাশরুম কাঁচা খেয়ে ফেলাটা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

  • মুরগি পাখি বলে ধরা হয়। তো এ পর্যন্ত একটি মুরগি শূন্যে ডানা ঝাপ্টে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড হচ্ছে ৩০২ ফুট। হায়রে মুরগি!

  • তুমি কি মাকড়সা ভয় পাও? ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ওরা খুব নিরীহ। কিন্তু আমেরিকার ব্ল্যাক উইডো মাকড়সাকে ভয় পেতেই হবে। ওরা এতো বিষাক্ত যে এক কামড়ে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।


  • খ্রিস্টপূর্ব ৫ শতকে ভারতের পাণিনি সংস্কৃত ভাষার ব্যকরণ রচনা করেন। এই ব্যকরণে ৩৯৫৯টি নিয়ম লিপিবদ্ধ করেন তিনি।

  • বাংলাভাষায় বিশ্বের বিশ কোটিরও মানুষ কথা বলে। এসব মানুষের বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করে।

  • বাংলাভাষায় লেখা প্রথম ব্যাকরণ রচিত হয় ১৭৩৪ থেকে ১৭৪২ সালের মধ্যে। এর লেখক ছিলেন মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ নামের এক পুর্তগিজ পাদ্রি।

  • হ্যারি পটার সিরিজের বই এ পর্যন্ত ৬৫টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তবে ব্রিটিশ ইংরেজিতে লেখা বইটি প্রথমে আমেরিকান ইংরেজিতে অনূবাদ করা হয়েছিল।

  • এ পর্যন্ত হ্যারি পটার সিরিজের বই বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ৪০০ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রয় হয়েছে।

  • হ্যারি পটার সিরিজের কল্যানে লেখিকা জে কে রাউলিং বিশ্বে ১৩৬তম এবং ব্রিটেনে ১৩তম ধনী।

  • বাংলা ভাষায় ছাপা প্রথম সম্পুর্ন গদ্যগ্রন্থ ছাপা হয় ১৭৮৫ সালে। বইটি ছিল জোনাথান ডানকানের লেখা ‘ইম্পে কোড’ নামের একটি আইনের বইয়ের বাংলা অনুবাদ।

  • ইংরেজিতে ছাপা প্রথম বইয়ের নাম ছিল ‘দি রেকুইয়েল অব দি হিস্টোরিয়েস অব ট্রয়’ (The Recuyell of the Historyes of Troye)। এই বইটি ছাপা হয় ১৪৭৫ সালে আর লেখক ছিলেন উইলিয়াম ক্যাক্সটন।

  • জার্মানির গুটেনবার্গ ১৪৪০ সালে মুভেবল টাইপ উদ্ভাবন করেন। এই ছাপাখানায় তিনি ল্যাটিন ভাষায় ১৪৫৫ সালে বাইবেল ছাপেন। এটিই বিশ্বের প্রথম মুদ্রিত বই।

  • পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশিররভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ দিয়ে। (তাইতো বলি এত মাছ খাই, তার আঁশগুলো যায় কোথায়!)

  • একটার ওপর একটা বিশাল বিশাল ব্লক বসিয়ে তৈরা করা হয়েছে মিশরের পিরামিডগুলো। তাতে একটা দুটো নয়, যেমন ধর গিজার পিরামিড বানাতে লেগেছে আড়াই মিলিয়ন ব্লক। আচ্ছা, তা না হয় বানালো কিন' বসে বসে ওগুলো গুনলো কে?

  • বিজ্ঞানি টমাস আলভা এডিসন অনেক আগে একটি হেলিকপ্টার বানানোর বুদ্ধি করেছিলেন যেটা চলবে বন্দুকের বারূদ দিয়ে। কিন' তার এই বুদ্ধিটা খুব একটা বুদ্ধিমানের মত ছিল না, কারণ এটা বানাতে যেয়ে সে তার পুরো ল্যবরেটরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

  • ভয় পেলে বা কোন কারণে উত্তেজিত হলে একটা টার্কি প্রতি ঘন্টায় ২০ মাইল জোড়ে দৌড়াতে পারে আর দৌড়াতে দৌড়াতে যখন লাফ দেয়, তখন বাতাসে সে প্রতি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৫৫ মাইল বেগে উড়ে যেতে পারে।

  • বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন চেয়েছিলেন আমেরিকার জাতীয় পাখি হোক টার্কি (এক ধরনের বড় মোরগ)। কিন্তু ওনার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

  • হাতের বুড়ো আঙ্গুলের নখ বড় হয় খুব আস্তে আস্তে, আর সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বড় হয় মধ্যমার নখ।

  • হাসাহাসি করা কিন্তু সোজা না। সে তুমি মুচকি হাসো আর হো হো করে হাসো, প্রতিবার হাসার সময় মুখের কমপক্ষে ৫ জোড়া মাংশপেশী তোমাকে ব্যবহার করতে হয়। আর বেশী হাসি পেলে তো মোট ৫৩টা পেশী লাগবে।

  • কোন কথা না বলেই মানুষ তার তার মুখ দিয়ে হাজার রকম ভাব প্রকাশ করতে পারে। রাগ, অভিমান, মেজাজ এইসব আরকি। কিন্তু এগুলোর ভেতরে আমরা সবচেয়ে বেশী কি করি জানো? হাসি! হি হি হি!

  • স্টার ফিশগুলো কিন্তু মস্ত বোকা। ওদের কোন মগজই নেই।

  • গোল্ড ফিস ছোট্ট হলে কি হবে, ওদের কেউ কেউ ৪০বছর পর্যন্তও বাঁচতে পারে।

  • আট পা’অলা অক্টোপাসের হৃৎপিন্ড থাকে তিনটা। ওফ্ এই অক্টোপাসগুলোর সবকিছুই বেশী বেশী।

  • খোলহীন শামুক দেখেছ না? ওদের একটাও খোল না থাকলে কি হবে, ওদের নাক কিন্তু চারটা!

  • হি হি হি... জানো নাকি কচ্ছপরা ওদের পেছন দিক দিয়েও নিঃশ্বাস নিতে পারে।

  • স্টোন ফিশ নামের একটি মাছ পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার তীর ঘেঁষে। এই স্টোন ফিশের শরীর পাথরের মত শক্ত কিনা জানি না, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত মাছ কিন্তু এটাই।

  • দুনিয়া জুড়ে হিসাব করলে প্রতি বছর প্লেন ক্রাশে যত মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় গাঁধার পিঠ থেকে পড়ে। এ জন্যই বোধহয় মানুষ গাধার পিঠে না, প্লেনে করেই বিদেশ বেশি যায়।

  • বসে বসে টিভি দেখার চেয়ে শুয়ে শুয়ে ঘুমালে শরীরের অনেক বেশি ক্যালরি পোড়ে। অবশ্য যদি লাফাতে লাফাতে টিভি দেখ তাহলে অন্য হিসাব।

  • ওয়াল্ট ডিজনিকে চেনো তো? তিনি মিকি মাউসের স্রষ্টা। কিন্তু এটা কি জানো যে তিনি নিজেই ইঁদুর মারাত্মক ভয় পেতেন।

  • ব্যাংক অফ আমেরিকার আসল নাম ছিল ব্যাংক অফ ইতালি।

  • অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়ারা সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে। কাজেই কোন পিপঁড়াকে যদি বাম দিকে উল্টে থাকতে দেখ, বুঝে নিবে সে নিশ্চয়ই স্কুল ফাঁকি দেবার জন্য অজ্ঞান হবার অভিনয় করছে।

  • মাত্র দশ বছর আগেও চীনের ৫০০ জন মানুষ বরফে স্কি করতে জানতো, কিন্তু এ বছর প্রায় ৫ লক্ষ চীনা স্কিইং করতে বিভিন্ন স্কি রিসোর্টে ঘুরতে গেছে!

  • ডানহাতি মানুষেরা সাধারণত বাঁহাতি মানুষের চেয়ে অল্প কিছুদিন বেশী বাঁচে। অবশ্য যারা দুই হাতেই সমান তালে কাজ করতে জানে তাদের ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

  • একজন মানুষ তার জীবনের অন্তত দুই সপ্তাহ কাটায় ট্রাফিক সিগনালের লাল বাতিতে। আর জ্যাম লাগলে তো কথাই নেই।

সূএ:-

http://kidz.bdnews24.com/index.php